April 28, 2024, 10:00 am

কুমিল্লার গোমতি নদীর তীরে কাশ্মিরী আপেল কুল চাষ

যখন জীবিকার জন্য মানুষ বিদেশে যেতে চায় তখন পৈত্রিক ব্যবসা নার্সারীর সাথে কাশ্মিরী আপেল কুল চাষে সফল ২৫ বছরের যুবক শাহাজাহান। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গোমতী নদীর তীরে ঝাকুনিপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তিনি।
ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিলো বিদেশ গিয়ে মায়ের স্বপ্নগুলো পূুরণ করবে। তাই স্কুল জীবন শেষ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। নানা চড়াই-উত্তরাই পেরিয়ে বাবার নার্সারি সাথে গড়ে তুলেন কাশ্মিরী আপেল কুলের বাগান। পুরো বাগান জুড়েই বিভিন্ন ফুলের সাথে কাশ্মিরি আপেল কুলের সমাহার।
মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৯ সালে শখের বশে শুরু করেছিলেন কাশ্মিরী কুল চাষ। গোমতীর চরে ৮০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন কাশ্মিরী কুলের ৩৫০টি চারা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬৫০টিতে। আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মত। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এ আপেল কুল।
চাষী শাহজাহান জানান, ৫ বছর আগে প¦ার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে চারা আনেন। আনা-নেওয়াসহ প্রতিটি চারার খরচ পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা। এখন পর্যন্ত চার বছরে তার ব্যয় হয়েছে ১ লাখ টাকার মতো। প্রতিটি বছর গাছে প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। প্রথম ও ২য় বছর মিলে তিনি লাভ করেছে ৩ লক্ষ টাকা। এ বছরও প্রতিটি গাছ ৩০-৪০ কেজি করে কুল ধরেছে। এভাবে টানা ৫-৭ বছর পর্যন্ত ফল বিক্রি করা যাবে। প্রতি কেজি কুল ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি এখনও বিক্রি শুরু করেননি। দু’একদিনের মাধ্যে শুরু করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর তিনি ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, নতুন জাতের কাশ্মীরি আপেল কুল কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে। শুরু থেকেই নতুন জাতের এ কুলচাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মীরা চাষীদের সহযোগিতা করে আসছেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :